অনলাইন ডেস্কঃ
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে উপকূলীয় জেলা বরগুনাতেও। বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা বরগুনার ৬টি উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিষখালী ও বুড়িশ্বর নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে বরগুনায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা আবহাওয়া অফিস।
পানি বাড়ার আশঙ্কায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চর অঞ্চলের জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বরগুনার বেতাগী এবং বামনা উপজেলা ছাড়া জেলার বাকি ৪টি উপজেলায় সিপিপির মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩০০ জন, জাগনারীর ১৫০ জন, ব্র্যাকের ৩৫৫ জন, রোভার স্কাউটের ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক তৎপর রয়েছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি এড়াতে বরগুনা জেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার কার্টন শুকনা খাবার, ৭০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১৯০ বান টিন হাতে আছে। প্রয়োজনে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।