কাজী নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে। এতে জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছরই ঠান্ডাজনিত কারণে রোগ বাড়লেও সচেতনতাই পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে।
ঋতু পরিবর্তনের ফলে চাঁদপুরে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগীরা।
চাঁদপুর সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বহিঃর্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। জরুরি বিভাগে সেবা নেয় গড়ে ২৫/৩০ জন রোগী। অথচ শিশু ওয়ার্ডে আইসিইউ এর ৭টি আসনসহ ৪৯টি আসনে ১০৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। যা আসন সংখ্যার চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি। তবে বেশির ভাগ রোগী কচুয়া, হাজীগঞ্জ, রায়পুর, রামগঞ্জ, হাইমচরসহ নদী তীরবর্তী বিভিন্ন চরাঞ্চলের।
সেবা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক শিরিনা বেগম জানান, কচুয়া থেকে ৬দিন পূর্বে মেয়ে তাসনিম এর নিউমোনিয়া দেখা দিলে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। ওষুধ বাহির থেকে কিনলেও, নার্সরা যথেষ্ট সেবা করেছে। এখন একটু ভালো তাই আজ বেড নং-১৭ থেকে বাড়ী নিয়ে যাবো। রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অপর এক রোগীর অভিভাবক সুমি বেগম জানান, ৩ দিন পূর্বে জ্বর, ঠান্ডা-কাশি নিয়ে ফাইয়াজকে ভর্তি করেছি। এখন একটু ভালোর দিকে।
শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ফেরদৌসী বলছেন, প্রতিদিন আসন সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুনের বেশি রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে চাহিদার তুলনায় জনবল কম থাকার পরও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা: আব্দুল আজিজ জানান, এখন ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুরা সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হলেও, অভিভাবকদের সচেতনতাই শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে পারে। সময়মত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোসহ, শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের।