মোঃ সোহরাব হোসেন,বরগুনাঃ
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় “মোখা” মোকাবেলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১৩ মে ২০২৩ ইং বেলা এগারোটায় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয় স্ববর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ আবদুস সালাম, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব , এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। সাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় জেলা পুলিশের টিম মাঠে রয়েছে, আইন শৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে । পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, বরগুনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৪ টি স্পটে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব বেড়িবাঁধ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে জিও ব্যাগ দিয়ে পানি প্রবেশ ঠেকানো হবে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলায় ১৯৬০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২২ টি পোল্ডারের ২৪টি স্থানে ২ কিলোমিটার ৫৭০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
যার মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় ১০টি স্থানে ১হাজার ২৫ মিটার। পাথরঘাটা উপজেলায় ৪টি স্থানে ৫৮৫ মিটার। বামনা উপজেলায় ৪টি স্থানে ৩৪০ মিটার। তালতলী উপজেলায় ২টি স্থানে ৩১০ মিটার। বেতাগী উপজেলায় ২টি স্থানে ১৯০ মিটার এবং আমতলী উপজেলায় ২টি স্থানে ১২০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকা দিয়ে লোকালয় পানি প্রবেশ করবে। আর এতে মারাত্মক জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে ওইসব ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকার অন্তত ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলার সরকারি ,বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।