মোঃ সোহরাব হোসেন,বরগুনাঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ জেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নেয়া হবে আশ্রয়ণকেন্দ্রে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পাওয়ার পর তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। সাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলায় সিপিপি মোট ৮ হাজার ৪৬০ জন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৩০০ জন, জাগোনারী ১৫০ জন, ব্র্যাক ৩৫৫ জন ও রোভার স্কাউট ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভেকেট এম এ কাদের মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা, বোরহান উদ্দিন আহমেদ মাসুম তালুকদার, আখতারুজ্জামান বাদল খান, রফিকুল ইসলাম রিপন, আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক, সোহেলী পারভীন মালা, অ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি, প্যানেল মেয়র মীর হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসাইনসহ সকল সরকারি দপ্তরপ্রধান।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপার সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী উল কবির জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান মু. তৌফিকুজ্জামান তনু, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, সকল সরকারি দপ্তর প্রধান।
আমতলী উপজেলার ১১১টি ও তালতলী উপজেলায় ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে বরগুনার পাথরঘাটা এবং তালতলী উপজেলার সব ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ ও সদর উপজেলার বদরখালী, ৭ নম্বর ঢলুয়া, আয়লা পতাকাটা ও ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বরগুনা জেলায় বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলের এলাকাগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ মারা যান।