সোহরাব,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
যতই দিন ঘনিয়ে আছে আমতলী সদর ইউনিয়নে প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ততই সরগরম হয়ে উঠেছে। সাধারণ ভোটাররা বলছেন প্রার্থীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশে চলছে প্রচার প্রচারণা, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রার্থীরা যার যার মত করে সাধারণ ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আর ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। তবে সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে জনগণের শক্তি নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।
ভোটারদের দাবি এবারের নির্বাচনে আবারও মোতাহার উদ্দিন মৃধাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে, তবে মোতাহার উদ্দিন মৃধা ঘোড়া মার্কা প্রার্থীকে হঠাতে মরিয়া আটজন প্রার্থী, সাধারণ ভোটাররা বলছেন মানুষ হত্যা ও গুম করে জনগণের ভালোবাসা ও ভোট আদায় করা যায় না, আজ টাকার প্রভাব বিস্তার করে মানুষকে খুন করে লাশগুম করবে, আবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে, সেটা সাধারণ মানুষ ইতিপূর্বেও মেনে নেয়নি ,এখনও নেবে না। তাই খুন মামলার আসামি নয়ন মৃধা আমাদের ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছিল অবৈধ কালো টাকার প্রভাব বিস্তার করছিল। এবং মানুষ খুন করছে , উল্লেখ্য যে বরগুনার আমতলী সদর শান্ত ইউনিয়ন টিকে অশান্ত করে তুলছেন এক প্রার্থী তিনি ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়ানো নিয়ে মোতাহার উদ্দিন মৃধা কর্মী সমার্থক ১ জন নিহত মেরে ফেলেছে। সেই ঘটনায় প্রতিদ্বন্দী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্থানীয় আঃলীগ নেতা আবুল বাশার নয়ন মৃধাকে প্রধান আসামি করে আমতলী থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মোট ১৬ জনকে আসামি করা হলে সন্দেহ ভাজন হিসেবে আরো ৪০/৫০ জনকে রাখা হয়েছে। আমতলী পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সহ আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের এই মামলার অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহ ভাজন আসামিরা হলো ইফতেখার রসুল সোহাগ প্যাদা, মেহেদী হাসান ও গোলাম কিবরিয়া। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলো ১. আবুল বাশার নয়ন মৃধা ২. এ জেড এম সালেহ ফারুক পান্নু মৃধা, ৩. আবুল কালাম আজাদ (আরপাংগাশিয়া), ৪. জাহাঙ্গীর সরদার, ৫. সবুজ (চিলা), ৬. মাইনুদ্দিন সরদার, ৭, কাদের সরদার ৮. ইউসুফ সরদার, . ৯.ইব্রাহীম সরদার, ১০ আবু তালেব গাজী, ১১. হিরন মোল্লা (হলদিয়া) ১২. পলাশ হাওলাদার ১৩. হান্নান গাজী, ১৪. কবির হাওলাদার, ১৫. কবির সরদার ও ১৬. শহিদ মেলকার।
পবিত্র ঈদ- উল ফিতরের আগের দিন রাত আনুমানিক ১১টার সময় আমতলী ইউনিয়নের মহিষডাংগা গ্রামে এই নৃশংশ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। নিহত ব্যক্তির নাম হিরন গাজী। তিনি আমতলী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক ছিলেন।
বাদী তাসলিমা বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন অভিযুক্ত আসামী আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার হাতে থাকা চাইনিজ চাকু দিয়ে কুপিয়ে ফুসফুস ছিদ্র করায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন আসামিদের মহিষডাংগা গ্রামে রাতে প্রবেশকরা নিয়ে ভিকটিম জানতে চাইলে ১ থেকে ৪ নং আসামিদের উস্কানীর কারণে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে তার স্বামী খুন হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষ সাক্ষী দেলোয়ার সরদার বলেন, ঘটনার সময় নিহত হিরন গাজীর নেতৃত্বে তারা একটি দোকানে চা পান করছিলেন। এসময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধা সহ ৫০/৬০ লোক এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ করে হিরন গাজী। সে ঘটনার এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হলে হিরন গাজী কে উপর্যুপরি ছুরিকাহত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে আমতলী সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন নিহত হিরন গাজীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৬ জনকে ও ৪৯/৫০ অজ্ঞাত নাম দিয়ে অভিযোগ করলে প্যানেল কোড ১৪৩,৩০২ ও ৩৪ ধারায় আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটানায় প্রধান আসামি সহ অজ্ঞাত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার অন্যান্য আসামি ও জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।