দুর্গাপুরঃ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর ইউনিয়নের উওর ভবানীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন। সোমবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনাতয়নে একই ইউনিয়নের আগারপাড়া গ্রামের সাদেক মিয়া, আব্দুল জলিল, সুমন মিয়া, শাকিল মিয়া, আরজ আলীর উপর নানা অভিযোগ এনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জালাল মিযা বলেন, গত ১৩ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় আমি আমার বাড়ীর পাশের কার্তিক হাজং এর মুদি দোকানে বসেছিলাম। ওই সময়ে সাদেক মিয়া মদ্যপ অবস্থায় আমাকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এলোপাথারী কিল ঘুষি মারতে থাকে। পরে উপস্থিত জনতা ফিরাইয়া দিলে আমি বাসায় চলে আসি। এরপর সাদেক মিয়া, আব্দুল জলিল, সুমন মিয়া কার্তিক হাজংয়ের দোকানের সামনে রাখা আমার মোটর সাইকেল এর হেডলাইট, ট্যাংকি ভাংচুর করে। পরে অভিযুক্ত সকলেই দল-বল সহ লাঠি-শোঠা হাতে নিয়ে আমার বসতবাড়িতে প্রবেশ করলে আমি আত্মরক্ষায় বসতঘরের ভিতর চলে যাই। এ সময় আমার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে সাদেক মিয়া আমার স্ত্রী‘র চুলের মুঠি ও পড়নের কাপড় ধরিয়া টানা হেচড়া করে। ওই সময় আমার পুত্রা ও ভ্রাতা এসে ফিরাইলে চাইলে তাদেরকে মারপিট করে অভিযুক্তরা। তাদের মারপিটে ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে আল-আমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরন করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। অভিযুক্তরা আমার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমাদের কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাই। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এলাকাবাসী মো. আবুল কাশেম, মো. আজিম উদ্দিন, মো. আইন উদ্দিন, মো. ইসরাফিল, মো. রতন মিয়া প্রমুখ।
এ গন্ডগোলের বিষয়ে অভিযুক্ত সাদেক মিয়া ও তার সঙ্গীদের মুঠোফোনে বারংবার যোগাযোগ করা হয়ে, তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।