বরগুনা প্রতিনিধিঃ
রেজিস্ট্রি তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন সাবেক স্ত্রী। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান রোববার মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামি হলেন, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার চরগাধাতলী গ্রামের মো. মাহমুদ আল ফয়সাল।
জানা যায়, বরগুনা আসামি মো. মাহমুদ আল ফয়সাল। ২০১৯ সালের ২৯ মে বিয়ে হলেও ফয়সাল বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে। স্ত্রীর পরিবার কমবেশি ফয়সালকে টাকা-পয়সা দিতেন। ইতিমধ্যে ফয়সাল পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে। ফয়সাল এ বছর ১৫ অক্টোবর তার স্ত্রীকে রেজিস্ট্রি তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন রেখে ১৯ অক্টোবর হতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বরগুনাস্থ শ্বশুরের বাসায় তার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে।
৫ নভেম্বর সকালে ফয়সাল তার শ্বশুরের বাসা থেকে তাদের বাড়ি যাওয়ার সময় শ্বশুরের বাসায় যেখানে ফয়সাল ঘুমাতেন সেখানের বালিশের নিচে একটি খামে তালাকের নোটিশ গোপনে রেখে যায়। ওইদিন সকালে ফয়সালের স্ত্রী তালাকের নোটিশ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, ফয়সাল তো জানত আমি তার স্ত্রী নই। জেনেও ফয়সাল আমাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছে। ফয়সাল তালাকের তথ্য গোপন করে আমার সঙ্গে দৈহিক মিলন করে অপরাধ করেছেন। এ ব্যাপারে ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।