এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
কর্ম গুনে প্রশংসিত বরগুনার আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মুহম্মদ আশরাফুল আলম। সরকরি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশংসা করা কারো চোখে বেমানান মনে হলে ও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিক ভাবে ভালো হয় সাধারন মানুষ ও অসহায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে হয়, সেবার মান বাড়ে, ভোগান্তি কমে, তখনতো বলা যেতে পারে তিনি জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল। সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের অভিযোগের শেষ নেই। তবে এর ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
মুহাম্মদ আশরাফুল আলম আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে সাজান। উদ্যোগ নেন অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার। উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেন। তাছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
তা ছাড়াও, উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরে রাখা, প্রতিটি অফিসে সেবার মান বৃদ্ধি এবং ভোগান্তি কমানো, প্রকৃত কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরন বিতরণ, প্রকৃত হতদরিদ্রদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা, বাল্যবিবাহ বন্ধ,স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়নসহ নানা কাজের জন্য পাল্টে গেছে পুরো উপজেলার দৃশ্যপট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল বলেন, আমি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে কাজ করে আসছি । যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আমার উপর সরকারের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার।মানুষ তার কর্মের মধ্যে দিয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকে, আমিও আমার কর্ম দিয়ে মানুষের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।