কাজী নজরুল ইসলাম, চাঁদপুরঃ
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ হইতে ৩৫৩ টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে | নদী উপকূলীয় এলাকায় সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার ১১ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ” মোখা “মোকাবেলা বিষয়ে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান সংশ্লিষ্ট সবাইকে সার্বিক প্রস্তুতি সহ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন |
এ ছাড়াও বিকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গাড়ি দিয়ে মাইকিং করা হয়। কোস্ট গার্ড জেলার স্টেশন থেকে জানানো হয়, কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষে সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধনের জন্য জরুরি : ০১৭৬৯-৪৪০৩৩৩ নম্বরে ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করা হবে।
জেলার হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, ঘুর্ণিঝড় বিষয়ে বিকাল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। সেখানে যুক্ত হয়ে যেসব নির্দেশনা পেয়েছি, সেসব নিদের্শনার আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চলের আশ্রয়ন প্রকল্প প্রদানদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এবং ওইসব এলাকায় প্রথম পর্যায়ে মাইকিং করা হয়েছে। সতর্কতার জন্য আরো প্রচার করা হবে। আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার নদী উপকূলিয় রাজ রাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, আমাদের ইউনিয়ন পদ্মা – মেঘনা নদীর পাশে সকল ইউপি সদস্য সহ প্রত্যেক এলাকার লোকজনদেরকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার এখলাছপুর লঞ্চঘাট ও কয়েকটি স্থানে জেলে ও স্থানীয় সাধারণ জনগণের সঙ্গে সচেতনমূলক প্রচারণা করেন।