এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের চিহ্নিত রাজাকার পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়ার স্ত্রী জাহানারা ইসলাম পরিচালনাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মাটি কেটে নেয়া সেই এনবিএম অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নোটিশ দিয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধের কান্টি সাইটের মাটি ভরাট করে না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ও লোকালয়ে ২০১৩ সালে চিহ্নিত রাজাকার পুত্র নুরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা ইসলাম এনবিএম নামের একটি ইটভাটা নির্মাণ করেন। ওই ইটভাটা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বঁাধ। ওই বঁাধের কান্টি সাইটের মাটি কেটে ভাটার ম্যানেজার নুর উদ্দিন বয়াতি ও তার লোকজন ইটভাটায় নিয়ে গেছে। এতে প্রাকৃতিক জ্বলোচ্ছাসে বঁাধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলে ওই ইউনিয়নের ফসলী জমি, প্রাণীকুল ও অন্তত ৩০ হাজার মানুষ দুর্যোগের ঝঁুকিতে পড়বে। এছাড়াও ওই ইটভাটা সংলগ্ন তিনপাশে গ্রাম ও তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ইটভাটার ধোয়ায় পরিবেশ চরম আকারে বিঘ্নিত হচ্ছে। ধোয়ায় এলাকার শিশু ও বৃদ্ধরা শাস কষ্ট, হাপানি রোগে ভুগছেন। কিন্তু ইটভাটার মালিক জাহানারা ইসলাম, তার ম্যানেজার প্রভাবশালী নুর উদ্দিন বয়াতি ও তাদের লোকজনের কারনে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। দ্রুত এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারী দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলীর নির্দেশে গত ১ ফেব্রুয়ারী উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান নোটিশ দিয়েছেন।
অপর দিকে ওই ইটভাটার কারনে পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিল করেছেন। কিন্তু ইটভাটার মালিক জাহানারা ইসলাম ও তার ম্যানেজার নুর উদ্দিন বয়াতি অবৈধভাবে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইটভাটার মালিক জাহানারা ইসলামের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি আদালতে আছি। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কল কেটে দেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, নোটিশ দিয়েছি। নোটিশ প্রাপ্তির পরে বাঁধ বেধে না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের মাটি ভরাট না করে তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।