এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন ভবন ও একটি টিনসেট ভবনের মালামাল বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মানুসারে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন টেন্ডার দিয়ে বিক্রি করার কথা থাকলেও উপজেলার গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.সাহাদাৎ হোসেন সেলিম সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের দুটি পুরোনো ভবন ভেঙে ইট, রট, লোহার অ্যাঙ্গেল ও টিন বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টির পুরোনো ভবন ও টিনশেডের ভবনটি। এ কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুরোনো পাকা ভবন ও টিনশেডের একটি ভবন ভেঙে ভবনের মালামাল ইট, রট, লোহার অ্যাঙ্গেল ও টিন বিক্রি করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.সাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, ‘ ভবন দুটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে ভবন দুটি বিক্রি করে অফিস কক্ষে ও শিক্ষকদের রুমে বাথ রুম নির্মান করা হয়েছে।’ বিদ্যালয়ের ভবন টেন্ডার ছাড়ায় কীভাবে ভেঙে ফেলছেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা গেলে তাদের সাথেও প্রধান শিক্ষক অশোলভন আচারন করেছেন।
স্কুলের ম্যানেজিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
এদিকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলছেন, প্রধান শিক্ষক স্হানীয় ও এককই প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিন থাকায় কোন কিছু ধোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াল খুশি মতো অনিয়ম দুর্নীতি করেই যাচ্ছেন। স্কুলের পুরোনো দুটি ভবনের ইট, রট, লোহার অ্যাঙ্গেল ও টিন ছিল। যা তিনি গোপনে বিক্রি করে দিয়েছেন। যার বাজার মূল্য কয়েক লাখ টাকা।এলাকাবাসী তার অব্যাহতি ও শাস্তির দাবি করেছেন। তারা এ ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষকের বিক্রি করার কথা না। তবে আমি খতিয়ে দেখব। বিক্রি করে থাকলে অফিসিয়ালি আইনী ব্যবস্থা নিবো।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে অবহিত করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে আমি অবগত হয়েছি। তবে কোনোভাবেই সরকারি মালামাল বিক্রি করার এখতিয়ার প্রধান শিক্ষকের নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।