দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক পত্র স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রদান করেন তিনি। অবশ্য পদত্যাগের কারন হিসেবে সেচ্ছায় পদত্যাগের কথা উল্লেখ করেছেন। উক্ত উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপজেলা পরিষদ (কার্যক্রম বাস্তবায়ন) বিধিমালা, ২০১০ এর ১৫(৩) ধারা অনুযায়ী নতুন চেয়ারম্যানের কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ভাইস চেয়ারম্যান প্যানেল ০১ পারভীন আক্তার অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান তিনি।
ঝুমা তালুকদার বলেন, দুর্গাপুর উপজেলাবাসী আমাকে এমপি জালাল উদ্দিন তালুকদারের কন্যা, আমার রাজনৈতিক দক্ষতা ও আমাকে ভালোবেসে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন এর জন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার পাশে থাকা সাধারণ মানুষের সেই ভালোবাসাকে পুজি করে এবং আমার এলাকার রাজনৈতিক মুরুব্বীদের দোয়া নিয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহ আমাকে অনেক সম্পদ দিয়েছেন। এমপি হয়ে জনগনের হক তসরুপ করা এ ধরনের চিন্তা আদৌ আমার নেই। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যে সম্মানীভাতা পেয়েছি, তা প্রতিমাসেই সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছি। আমার বাবা এ আসন থেকে বারবার আওয়াামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আমি চাই আমার বাবার রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পন্ন করতে। দুর্গাপুর-কলমাকান্দার অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ আসনে মনোনয়ন দিলে, দলমত নির্বিশেষে আমি ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ্। আমার কোন অহংকার নাই, আমি তৃণমুল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে নেত্রকোনা-১ আসনকে দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুন্দর আদর্শ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। তাই দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে প্রথমে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়। মন্ত্রনালয় উক্ত পদত্যাগপত্র গ্রহন করে এ আদেশ জারি করেন।