সোহরাব,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
জায়গা পেলেই সবজি চাষ” সুস্থ থাকি বারো মাস, বরগুনা সদর থানার পরিত্যক্ত জায়গায় বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে। এতে করে চাহিদা মিটছে পুলিশের। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমানের উদ্যোগে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করা হয়েছে। প্রথম দেখাতে মনে হতে পারে এটি কোন আদর্শ কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনার জমি । কিন্তু না, এটি বরগুনা জেলার , সদর থানা কমপাউন্ডের চিত্র। পুরো থানা ভবনের পরিত্যক্ত জমিতেই করা হয়েছে সবজি চাষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কৃষি কাজ করতে আহবান জানান। এক বক্তব্যে তিনি বলেন,দেশের এক খন্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। ফসল উৎপাদনে বেশি নজর দিতে হবে। যারা ঘরে বসে আছেন ছাদে বাগান করুন, জমি থাকলে গাছ লাগানোর কাজ আপনারা নির্বিঘ্নে করতে পারেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা সদর থানা চত্বরে পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কার করে চাষ করা হয়েছে নানা ধরনের সবজি। যেন সবুজের সমারোহ। এখানকার আবাদকৃত শাক-সবজি ক্ষেত থেকে তুলে থানার অফিসার ও ফোর্সসহ সবাই পরিবারের অনেকটা চাহিদা পূরণ করছেন। পুলিশের এমন উদ্যোগে স্থানীয় মানুষদেরও কৃষিকাজে আগ্রহী করে তুলেছে থানার ওসি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, থানা চত্বরে প্রায় ৮ শতাংশ পরিত্যক্ত জায়গায় সুসজ্জিত একটি সবজির ক্ষেত। এখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবুজশাক, লালশাক, মূলাশাক, বেগুন, রসুন, পেঁয়াজ, টমেটো ও শসাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করা হয়েছে।
সবজি বাগানের সার্বিক পরিচর্যা ও দেখভালের দায়িত্বে ওসি নিজেই করছেন। খুবই ভালো লাগে বাগান দেখে। এখানে উৎপাদিত সবজি চাহিদা পূরণ করছে থানা পুলিশের।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে।’ প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে থানার পতিত জায়গায় সবজির বাগান করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় থানার চারিদিকে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি চাষ করেছি। এক সবজি উঠার পরেই আবার নতুন করে সবজি চাষ করা হয়। থানার আরও পরিত্যক্ত জায়গায় ফুলের বাগান, বিভিন্ন ফলের বাগান করব।
বরগুনা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আবদুস সালাম বলেন পতিত জমি ব্যবহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই সদর থানার ওসির এমন উদ্যোগ। শুধু সদর থানা নয়, জেলার সকল থানা কমপাউন্ড, পুলিশের আওতায় থাকা অধিকাংশ জমি চাষাবাদের আওতায় নেয়ার আহ্বান জানান পুলিশ সুপার। আর এইসব জমিতে সবজি চাষ করলে নিয়মিত পরিচর্যায় ফলনও ভালো হয়।
পুলিশের সবজি চাষ দেখে থানায় আসা মানুষেরাও কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।