বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের পূর্ব ধুপতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইয়েদাতুন্নেছা তানিয়ার বিরুদ্ধে সরকারী বিধিমালা অমান্য করে ছুটি ছাড়া ১০ দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, গর্ভকালীন শারীরিক অসুস্থ্যতাজনিত কারনে শিক্ষক সাইয়েদাতুন্নেছা তানিয়াকে ৩০ দিনের বেড রেষ্ট লিখে সনদ প্রদান করেন ডাক্তার। ২ মে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ৪০ দিনের ছুটি চেয়ে একখানা দরখাস্ত করেন তানিয়া। দরখাস্তে মেডিকেল সনদ অনুযায়ী ৪০ দিনের স্থলে ৩০ দিন ছুটির সুপারিশ করেন প্রধান শিক্ষক খালেদা বেগম। পরবর্তীতে মেডিকেল সনদ অনুযায়ী ৩০ দিন ছুটি ভোগ করার পরে সরকারী বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ছুটি ছাড়াই অতিরিক্ত আরও ১০ দিন অবৈধভাবে অনুপস্থিত থেকে ১৮ জুন ফিটনেস সনদ এবং যোগদান পত্র দাখিল না করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন তানিয়া।
জানতে চাইলে তানিয়া জানান, আমি দরখাস্তে ৩৮ দিনের ছুটি নিয়েছি। প্রধান শিক্ষক আমাকে ৩৮ দিনের সুপারিশ দিয়েছে। আমি ছুটি কাটানোর পরে টিইও স্যারকে ফোন দিলে তিনি আমাকে যোগদান করতে বলায় অফিসের প্রটোকল অনুযায়ী আমি বিদ্যালয়ে যোগদান করি।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক খালেদা বেগম জানান, মেডিকেল সনদ অনুযায়ী তানিয়ার ছুুটি ৩০ দিনের। সে মেডিকেল সনদ এবং টিইও স্যার বরাবর ৪০ দিনের ছুটি চেয়ে একখানা দরখাস্ত ছাড়া অদ্যাবদি আর কোন কাগজ আমাকে দেয়নি। মেডিকেল সনদ অনুযায়ী ৩০ দিনের ছুটি তার শেষ হলে টিইও স্যারের অনুমতিক্রমে হাজিরা খাতায় আমি সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন ছাড়া বাকী ৮ দিনের অনুপস্থিত লিখি। পরে, ১৮ জুন সে বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখে অফিসে গিয়ে খাতা ঠিক করে দেয়ার জন্য আমাকে হুকুম করে। ওই দিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কাউকে কিছু না বলে দুপুর ২ টায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন তানিয়া।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা সম্পূর্ণ অনিয়ম।সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।