রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ায় পরীক্ষার তিন দিন পূর্বে অটোবাইক দূর্ঘটনায় ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলো না মেধাবী শিক্ষার্থী সাইমুন। যখন তার পরীক্ষার হলে থাকার কথা তখন সে ঢাকায় মোহম্মদপুরে আল-মানার হসপিটালের বেডে চিকিৎসাধিন অবস্থায় কাতরাচ্ছে। হাতের কব্জি হারিয়ে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে দু’চোখে তার কান্নার সাঁতার আর অমানিশার ঘোর অন্ধকার। মেয়ের এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় বাবা-মা পাগলপ্রায়। মেয়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার কিভাবে বহন করবেন সেই দুঃশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাটি কাটা শ্রমিক সাইদুল ইসলাম ।
জানা গেছে,গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও দিদিহার গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে সাইমুন (১৬) তার খালা ঝুমুরকে নিয়ে আউয়ার বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোবাইকে বাইশারী বাজারে এক হোমিও চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলো। প্রথিমধ্যে অটোবাইকে সাইমুনের পায়ের কাছে একটি ফাঁকা স্থান থেকে তার ওড়না নিচে মেশিনের সঙ্গে জড়িয়ে গেলে সে সেই ফাঁকা অংশে ডান হাত দিয়ে ওড়না টেনে আনতে গেলে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পরে যায়।
তাকে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকায় মোহম্মদপুরে আল-মানার হসপিটালে ওই দিন রাতে তার হাতে অস্ত্রপচার (অপারেশন) করা হয়। তবে বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কব্জি সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল কাান্তি বিশ্বাস বলেন, মানবিক বিভাগের মেধাাবী শিক্ষার্থী সাইমুনের বাইশারী পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিলো। তার এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় সহপাঠি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ এলাকার সবাই মর্মাহত। রাইটারের মাধ্যমে তার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও গুরুতর অসুস্থতার কারনে তা সম্ভব হয়নি। মেধাবী দরিদ্র এ শিক্ষার্থীর এখন সুচিকিৎসার প্রয়োজন।
এদিকে মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য হতদরিদ্র দিনমজুর সাইদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।