বরগুনা জেলা সংবাদদাতাঃ
যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় স্বামী জলিল হাওলাদারের (৬০) মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন স্ত্রী নাসরিন (২৮)।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানা যায়, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বতিপাড়া এলাকার কাশেম কারীর ছেলের সঙ্গে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দুই লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে হয় একই উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের, ছোট আমখোলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ হাওলাদারের মেয়ে নাসরিন এর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামী জলিল হাওলাদার যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী নাসরিনকে নির্যাতন করে আসছিলেন। এভাবে কয়েক বছর ধরে নির্যাতন চলছিল।
শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ইং বিকেল সাড়ে তিনটায় বরগুনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের থানাপাড়া সংলগ্ন ভাড়া বাসায় জলিল তার স্ত্রী নাসরিন কে যৌতুকের দাবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখে, পরে লাথি মেরে পাকা ভবনের দুই তলা থেকে ফেলে দেয়। এতে গৃহবধূ নাসরিন নীচ তলায় পরে গুরুতর আহত হয়। আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন ওই গৃহবধূ।
নির্যাতনের শিকার হওয়া নাসরিন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। তারপরও বাবার বাড়ি থেকে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে স্বামীকে দেই , বর্তমানে আবার টাকা দাবি করে কীভাবে তাকে যৌতুক দেবো। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে আমার সঙ্গে ঝগড়াবিবাদ ও মারধর করে আসছিল স্বামী জলিল আবারও ওই টাকা চেয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে। আমার সারা শরীরের কোথাও মারতে বাকি রাখেনি। হাসপাতালে আমার খোঁজও কেউ নিতে আসেনি।
তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী জলিল হাওলাদার আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ বলেন এ বিষয়ে কোনো থানায় অভিযোগ আসেনি, আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।