মনিরুল ইসলাম,কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ
ঈদের ছুটিতে অগনিত পর্যটকের আগমনে উৎসব মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ঝাউ বাগান, শুটকি পল্লী, গঙ্গামতি, লেম্বুর বন, বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের পদচারণা। ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে উপভোগ করতে গত শনিবার থেকে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে সৈকতে।
রমজানের পর বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল মোটেলের কক্ষ। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সৈকতসহ পর্যটন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা পর্যটক তানিম চৌধুরী বলেন, এক সময় কুয়াকাটা আসতাম ৮/৯ টি ফেরিপার হয়ে, আজকে এসে এত পর্যটক দেখে হতবাক হয়ে গেছি। এ অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়ে গেছে।
খাবার হোটেল ব্যবসায়ী কাওসার আহমেদ বলেন, রমজানের কারণে দীর্ঘ একমাস হোটেল বন্ধ ছিল। এখন ঈদ উপলক্ষে ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর মুখে হাসি ফুটেছে। আগে শীতের সময় পর্যটক বেশি হতো। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি বেড়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, আমাদের হোটেল গুলোর বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে। আমরা পর্যটকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করেছি।
টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, আজকে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যটন স্পট গুলোতে টহল পুলিশ ডিউটিতে রেখেছি।
কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য মহিপুর থানা পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে। খাবার হোটেল ও আবাসিক হোটেল গুলোও পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত। পর্যটকের গাড়ি পার্কিংয়ের কথা চিন্তা করে কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন পৌর বাসস্ট্যান্ড খুলে দেয়া হয়েছে।