সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটে দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্ব সহকারে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে সিলেটের বিভিন্ন পূজাম-প পরিদর্শন করেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। দূর্গাপূজায় নিরাপত্তা দিতে সিলেটের পুলিশ প্রশাসন নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। পূজা চলাকালীন পুলিশের পাশা পাশি ডিবি ও র্যাব মাঠে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকে বলা হয়, পহেলা অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ২য় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়েছে। নির্দেশনা সমূহের মধ্যে রয়েছে- শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিত ভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হলে ঘটার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পূজাম-পসমূহ পরিদর্শন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে,সংল্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিসমূহকে পূজাম-পসমূহে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ৩ জন এবং রাতে ৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে, প্রতিটি পূজাম-পে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে,শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজাম-পের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকগণ এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ এরূপ কমিটি গঠন করবেন।