কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পৌর বিএনপির নেতা ও আবাসিক হোটেল রনির মালিক মানিক মিয়ার বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়ে ডাকাতরা বাড়ির মালিককে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের মারধরে দুজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির মানিক মিয়ার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বাসায় ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত সোমবার রাত আনুমানিক দুটার দিকে ঘরে ঢুকে বাড়ির মালিক মানিক মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে এ ডাকাতি করে। মানিক মিয়ার দাবি, ডাকাতরা পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরের আলমিরার চাবি নিয়ে খুলে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণলংকার, ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে।
আলমিরার চাবি না দিতে চাইলে তাকে এবং তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে আহত করা হয়। তবে ডাকাতরা মুখোশ পরে থাকায় তাদেরকে চিনতে পরেনি কেউ।
মানিক মিয়া ও তার স্ত্রীর দাবি করেন, ঘটনার পরপরই মহিপুর থানা পুলিশকে ফোন দেওয়া হলেও থানা পুলিশ ফোন রিসিভ করেনি। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে ডাকাতরা সটকে পড়ে।
পরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমরা রাতে কোনো ফোন পাইনি। সকালে ঘটনা শুনে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমল কৃষ্ণ মন্ডল মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।