আবুল কাশেম রুমন,সিলেটঃ
সিলেটে বাসা নিয়ে দ্বন্ধে ৭ মাসের গর্ভবতীর পেঠে লাথি মেরে সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ এপিল ২৪ ইং অনুমান সকাল ৯ ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া (খন্ডিকরপাড়ায়)। ভুক্তোভোগী লিপি বেগম বাদী হয়ে সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৬ মে ২৪ইং মামলাটি দায়ের করলে আদালত শাহপরান (র.) থানাকে মামলা এজাহার হিসেবে গন্য করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী শাহ্পরান থানা মামলা এহজার হিসেবে গণ্য করে। মামলা নং সি. আর- ২১১/২০২৪। শাহপরাণ (র.) থানা জি.আর মামলা নং-২৫/১৩৬।
উক্তর মামলায় এজহারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিনসহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় এহজার হিসেবে গণ্য করা হয়। বাদীনির অভিযোগে জানা যায়, আসামীরা জোর পূর্বক ভাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিল্ডিং কোড অমান্য করে বাদীর স্বামীর জায়গা দখলের পায়তারা করার নিমিত্তে বাদীর বাসা ঘেষে একটি জরাজীর্ন বাসা নির্মাণ করেন। এ নিয়ে আসামীদের সাথে বাদীর স্বামীর ঝগড়া-ঝাটি চলছে দীর্ঘ দিন থাকে। মামলার ১নং আসামী বশির আহমদ কর্তৃক অবৈধ ভাবে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য আসলে বাদীর স্বামী প্রতিবাদ করায় বিগত ২৫ মে ২০২৪ ইং রাত অনুমান ১২.২০ ঘটিকার সময় ১নং আসামী বশিরের নেতৃত্বে সমূহ আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র রামদা, লাঠি, লোহার রড হকিস্টিক সহ বেআইনী জনতাবন্ধে মিলিত হয়ে বাদী ও তাহার স্বামীর বসতঘরে অনধিকার প্রবেশ করে বাদীর স্বামীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাত করতে উদ্ধত হইলে বাদীনি তাহার স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে ০১নং আসামী বশির আহমদ প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ০৭ (সাত) মাসের অন্তস্বত্ত্বা বাদীর তলপেটে স্বজোরে লাথি মারলে বাদী ঘরের মেঝেতে পড়ে যান এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তার আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চিকিৎসার জন্য সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে বাদীনির ০৭ (সাত) মাসের একটি মৃত সন্তান প্রসব হয়। ভুক্তোভোগী লিপি বেগম গর্ভের সন্তান মৃত্যুতে আদালতে নিজে বাদীয় হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আসামী যারা হলেন, বশির আহমদ (৬০), মনজুর রহমান মনজুর (২৭), সাইদুর রহমান সাইদ, মিজানুর রহমান মিজান, সালমা বেগম (৪৫), কয়েছ আহমদ, আব্দুর রকিব তুহিন (৫০), মুশাহিদ আলী (৬০), মামুন উদ্দিন মামুন (৩৬), ইব্রাহিম চৌধুরী আদহাম (২৮), সালেহ আহমদ ছালিক (৫৫), আব্দুর রহিম (৫০)।
এ ব্যাপারে শাহ্ পরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে তিনি জানান, আদালত থেকে একটি আদেশ এসেছে মামলা থানায় রেকর্ড করার জন্য, থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।