জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
বদলির আদেশ জারি হওয়ার এক দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আফতাবুজ্জামান-আল ইমরানের বদলির সেই আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে আগের দিনের বদলির আদেশ স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামান-আল ইমরান তাঁর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও মো. আফতাবুজ্জামান-আল ইমরান গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ক্ষেতলালে যোগদান করেন। চার মাস ২০ দিনের মাথায় ৩০ এপ্রিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তিনিসহ তিনজনকে বদলি করা হয়।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ইউএনওর বদলির খবরে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা কানাঘুষা শুরু হয়। অনেকেই ইউএনওর বদলিতে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আজ বুধবার ইউএনওর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার পর সাধারণ ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাঁর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার খবরটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেককেই ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে অনেকরই বলেন, ‘ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন সৎ, মানবিক ও ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি এখন পর্যন্ত ক্ষেতলালকে নিয়ে যেসব করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। গতকাল হঠাৎ তাঁর বদলির কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছিল। আজ যখন তাঁর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার খবরটি শুনি, তখন খুবই খুশি হয়েছি।’
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থীর তিনজনই আওয়ামী লীগ নেতা। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে হঠাৎই ক্ষেতলালের ইউএনও আফতাবুজ্জামান-আল ইমরানের বদলির আদেশকে একজন প্রার্থী নিজের সফলতা বলে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ইউএনওর বদলির আদেশ স্থগিত হওয়ার পর ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মো. আফতাবুজ্জামান-আল ইমরান বলেন, ‘গতকাল আমার বদলির আদেশ হয়েছিল। আজ আবার সেই আদেশ স্থগিত হয়েছে। সরকারিভাবে যখন যে আদেশ আসবে, সেটি মানতে আমরা বাধ্য।’