নিশাত আনজুমান,আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে সরকারি পুরাতন রাস্তার ইট উত্তোলন করে আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফমের্র উপর রাতের আধারে একটি ঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে স্টেশনে কর্মরত এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই রেল কর্মীর নাম আকরাম হোসেন। তিনি রেল স্টেশনে কী-ম্যান সহকারী ইনচার্জ হিসেবে প্রায় ৩ বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। পরে বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার খাতিজা খাতুন কাজটি স্থগিত করে দেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাট ফর্মের উপর দক্ষিণ পাশে একটি ফাঁকা জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মানের উদ্দেশ্যে একটি কাঠামো তৈরী করা হয়েছে। কাঠামোটির নিচের অংশে ইট দিয়ে গাঁথুনী করা হয়েছে এবং উপরে টিনের ছাউনি দেওয়া আছে। সেই ইট গুলো রেলওয়ে দুই নং প্লাটফর্মের পূর্ব পাশের্^র পুরাতন হেরিং ইটের রাস্তা থেকে উত্তোলন করা বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেলওয়ের প্লাট ফর্মের ওই জায়গাটি অবৈধ ভাবে দখল করে আক্কেলপুর রেল স্টেশনের কী-ম্যান সহকারী ইনচার্জ আকরাম হোসেন কাজটি করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে গত কয়েক দিন আগে রাতের আঁধারে রেল স্টেশনের কী-ম্যান সহকারী ইনচার্জ আকরাম হোসেন পুরাতন ইটের রাস্তা থেকে ইটগুলো উত্তোলন করে অবৈধ ভাবে রেল স্টেশনের প্লাটফর্মের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ কাজ করছিলেন। বিষয়টি কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের দৃষ্টি গোচর হলে তিনি আপতত কাজটি স্থগিত করে দেন।
জানতে চাইলে আকরাম হোসেন বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে ঘর নির্মাণ শুরু করেছি। এই ঘরটি স্টেশনের আনুষাঙ্গিক মালামাল রাখার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি স্টেশন মাস্টারসহ রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানেন। অনেকেই ওই রাস্তা থেকে ইট গুলো নিয়ে যায় তাই আমিও নিয়ে এসেছি’।
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহীদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘পুরাতন রাস্তার ইট তোলার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার খাতিজা খাতুন বলেন, ‘আমাদের সকলের অগোচরে রাতের আধারে আকরাম ঘরটি নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কাজটি স্থগিত করেছি। রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো হয়েছে’।