সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। এছাড়া সিলেট নগরীর অলি গলিতে মিলছে এডিসের লার্ভা। সময়ের প্রেক্ষিতে এডিসের লার্ভা ভংয়স্কর রূপ ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মতে।
সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা। নগর থেকে গ্রাম, বিভাগের প্রায় সব উপজেলা থেকেই শনাক্ত হচ্ছেন ডেঙ্গুরোগী। এমন পরিস্থিতিতে চরম ডেঙ্গুঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট মহানগরী। ইতোমধ্যে নগরীর সব ওয়ার্ডে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডেঙ্গুর কমিউনিটি সংক্রমণের শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও এসব সমাধানের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন মাঠে জুরালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। লার্ভা পাওয়া যাওয়া স্থান ও ভবনের মালিককে করা হচ্ছে জরিমানা সিটি কর্পোরেশন থেকে।
এদিকে সিলেট এম.এজি ওসমানী, সিলেট সদর হাসপাতাল ও প্রাইভেট বিভিন্ন ক্লিনিকে ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসা নিতে আসছেন অনেক রোগী প্রতিদিন কোন কোন শহর কিংবা গ্রামগঞ্জ থেকে রোগী আসতে দেখা যায় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৪ ঘন্টায় নতুর করে আরো ২৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৮ট থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত অনেকে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২, সুনামগঞ্জে ১, হবিগঞ্জে ১৭ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ৫ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে চলতি মওসুমে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩৮ জনে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১২৪, সুনামগঞ্জে ২৯, হবিগঞ্জে ২০১, মৌলভীবাজারে ৩৩ ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ১৫১ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩২ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। চলতি মওসুমে ৫৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪০৬ জন। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও চলতি মওসুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সিলেটে কেউ মারা যায়নি। তবে গত জুলাই মাসে সিলেট বিভাগে রেকর্ডসংখ্যক ৩৮২ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। জুলাইয়ে দৈনিক গড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৩ জন।
এছাড়া চলতি আগস্ট মাসের ৫ দিনে সিলেটে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন। প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৯ জন।
এদিকে চলতি মওসুমের জানুয়ার থেকে জুন পর্যন্ত বিভাগে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা ৬৩ জন। এর মধ্যে জানুয়ারীতে ৩ জন, এপ্রিলে ১ জন, মে মাসে ১ জন ও জুন মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ জন।