সোহরাব,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার বদরখালীতে চাঁদা টাকা না পেয়ে ট্রলার মালিক কে মারধর করে টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত বিচারে আইনে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ট্রলার মালিক মোঃ জাফর হাওলাদার।
রবিবার ৩০ শে জুলাই বরগুনা বিজ্ঞ দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন তিনি। ভুক্তভোগী জাফর হাওলাদার সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত্যু আফাজউদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে। আহত জাফর হাওলাদার বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
এ মামলায় আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার হাওলাদার এর ছেলে মোঃ রিপন হাওলাদার, মৃত্যু রোমেজ হাওলাদার এর ছেলে নাসির হাওলাদার , আব্দুল করিম হাওলাদার এর ছেলে তারেক হাওলাদার, মৃত্যু আব্দুল গফুর হাওলাদার এর ছেলে হানিফ মাহমুদ হিরু।
মামলা সূত্রে জানা যায় এফ. বি মা-বাবার দোয়া” নামক ট্রলারের স্যাধীকারী। দীর্ঘদিন যাবৎ লেবার, মাঝি নিয়া সাগরে মৎস্য শিকার করিয়া আসিতে থাকেন ।
আগামীগন এলাকার প্রভাবশালী সন্ত্রাসী মাস্তান চাঁদাবাজি প্রকৃতি লোক, ট্রলার মালিক কে অসহায় সহজ সরল ও দুর্বল পাইয়া বিভিন্ন সময় মিথ্যা তথ্য সরবরাহে ট্রলার ঘাটে আসামাত্র তার নিকট চাঁদার টাকা চাইত, কোন কোন সময় তিনি দিতে অস্বীকার করিলে তার ট্রলার চুরি করিয়া নিবে বা অন্য লোকের নিকট সরাইয়া দিবে বলিয়া বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাইত।
ভুক্তভোগী ট্রলার মালিক জাফর হাওলাদার বলেন অভিযুক্তদের অসহনীয় অত্যাচারে আমি অত্যান্ত ভীত হইয়া পরিয়াছি। ইতিমধ্যে আসামীগন আমার নিকট বিভিন্ন সময় ট্রলার ব্যবসার জন্য চাঁদা দাবী করিয়া প্রকাশ করে যে “তুই ট্রলারের ব্যবসা করিলে প্রতি মাসে আমাদেরকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে”। ঘটনার তারিখ সকাল বেলা মহিপুর হইতে আমার ট্রলারের মাঝি মোবাইল করিয়া মাছ বিক্রির টাকা নেয়ার জন্য মহিপুর যাইতে বলে। আমি মহিপুর গিয়া ট্রলার হইতে নিম্ন পরিচয়ের ট্রলারে নগদ ক্যাশ-৮৬ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ীর কাছে তেতুলবাড়ীয়া আসি। অতঃপর বাড়ীতে মোবাইল করিয়া ১/২ নং সাক্ষীদের জানাই “তোমরা সামনের দিকে আগাও, কারণ রাত্র হইয়াছে।
ঘটনার তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার, রাত্র অনুমান নয়টার সময় ১নং আসামীর বসতী বাড়ীর সামনের রাস্তার উপর পৌছিতেই আসামীগন আমার চলার গতিরোধ করিয়া চতুর দিক বেষ্টন করিয়া ধরে এবং অভিযুক্তদের হাতে থাকা দাও, ছেনা, ডেগার নিয়া ভয়ভীতি দেখাইয়া বলে এখন এই মূহুর্তে নগদ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিবে, নচেৎ তোকে বস্তা ভরিয়া এই তেঁতুলবাড়ীয় নদীতে ফালাইয়া দিবো। সকল আসামীগন আমাকে দাও ও ছেনার পিঠ দিয়া পিটাইয়া এবং কিল ঘুষি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ফুলা ও ফাটা জখম করিয়া পেশী শক্তির মহড়ায় ঘটনাস্থলে ত্রাসের সৃষ্টি করিয়া ১নং আসামী আমার প্যান্টের ডান পাশে পকেটে থাকা নিম্ন পরিচয়ের ট্রলারে ক্যাশ ৮৬ হাজার ৩৩০ টাকা খুনের ভয় দেখাইয়া দস্যুতা পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। আমি ডাক চিৎকার দিলে চলমান অপরিচিত লোকজন দাড়াইলে আসামীদের হাতে থাকা অস্ত্রের ভয়ে সাক্ষীগন সামনে আসিতে সাহস পায় নাই তাহাদেরকেও খুনের হুমকি দিয়া তাড়াইয়া দেয়। ঘটনাস্থলে আসা আমার মানিত সাক্ষীরা উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।