অনলাইন ডেস্কঃ
দীর্ঘ ১৪০ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার বিরুদ্ধে করা সব মামলায় জামিন হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
এ সময় কারাফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, ‘গোটা দেশই এখন কারাগার। বর্তমানে মানুষের কোনো অধিকার নাই। ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্রের মুক্তি মিললেই মানুষ তার সব অধিকার ফিরে পাবে। আমি ছোট কারাগার থেকে বৃহত্তর কারাগারে প্রবেশ করেছি।’
কারামুক্তির পর জেলগেটে রিজভীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় যান রিজভী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, ফজলে কাদের সোহেল, কেএম সোহেল রানা, এম সায়েম উদ্দিন সিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, আরিফুর রহমান তুষার, যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত, সোহেল আহমদ, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ওমর ফারুক কাওসার, ঢাবি ছাত্রদলের রাজু আহমেদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওইদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেদিন রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ও হামলা-মামলা নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতেন রিজভী।