এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকী আর মাত্র ৩ দিন। বাজারে চাহিদার তুলনায় গবাদি পশু বেশী ওঠায় দাম কম। এতে বাজারে গরু কম বিক্রি হচ্ছে। বিপাকে পরেছে গরু ব্যবসায়ীরা।
আমতলী প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় কোরবানীর জন্য ৮ হাজার ৬’শ ২৩ টি গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে এ উপজেলার ৮ হাজার ৯’শ ৫ টি পশু আছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭’শ ৮৭ টি গরু, ৬ ’শ২১ টি মহিষ,২ হাজার ৪’শ ৯৭ টি ছাগল। চাহিদার তুলনায় ২’শ ৯২ টি পশু বেশী রয়েছে। শেষ সময়ে ভালো লাভের আশায় ব্যস্ত খামারীরা। খুব যত্ন সহকারে গবাদি পশুর দেখভাল করছেন তারা। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বেশী পশু উৎপাদন হওয়ায় বাজারে দাম কম। ফলে দিশেহারা খামারীরা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশী গরু উঠেছে। ফলে কম দামে পশু বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী পৌর শহরের একে এম জিল্লুর রহমান বলেন, তুলনামুলক ভাবে বাজারে গরুর দাম অনেক কম।
হলদিয়া গ্রামের খামারী জালাল গাজী বলেন, ৭৫ হাজার টাকার একটি গরু ক্রয় করে দুই বছর লালন পালন করেছি। দুই বছরে গরুর পিছনে ৯০ হাজার টাকা খরচ করেছি। ওই গরু দুই লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বাজারে দাম কম থাকায় আসল ও খরচ মিলে তেমন লাভ হয়নি।
আমতলী গাজীপুর বন্দরের গরু ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বাজারে গরু দাম অনেক কম। গত বছরের তুলনায় এ বছর বড় ও মাঝারী ধরনের গরু ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কোরবানী উপযুক্ত ১১৫ টি গরু বিক্রি করেছি। বাজারে দাম কম থাকায় কাঙ্খিত লাভ হয়নি।
আমতলী গরু হাটের ইজারাদার মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশী গরু আসে। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম কম।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, উপজেলার সকল বাজারে পযাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা পশু ক্রয়-বিক্রয় করে যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ী ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।
আমতলী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতার্ ডাঃ নাজমুল হক বলেন, উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বেশী গবাদি পশু বেশী রয়েছে। বাজারে গরু বেশী উঠায় দাম কম।