সোহরাব হোসেন বরগুনাঃ
সুস্থতা যে মহান সৃষ্টিকর্তার কত বড় নেয়ামত, সেটা কেবল অসুস্থ হলেই ভুক্তভোগী ব্যক্তিই অনুভব করে, আর তার রক্তের অতি আপন স্বজনরা।
সংসদ সদস্য, ৩১৪ সংরক্ষিত আসন ১৪ ,বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ, প্রভাষক ফারজানা সুমি এমপি তার বাবা ও ভাইকে হারিয়ে বুকের ভিতর চেপে থাকা হৃদয় বিদারক কষ্টের কথা তুলে ধরে বলেন বাবা-মায়ের আমরা দুই ভাই বোন ছিলাম। আমার ছোট ভাইটা সৌরভ ই ফেরদৌস ছোট বেলা থেকেই অসুস্থ ও বাঁক প্রতিবন্ধী ছিলো, তখন থেকেই অনুভব করতাম ওর কি কষ্ট এবং ওর কষ্ট দেখে আমাদের কি কষ্ট হতো। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আমার ভাইটা ২৭ বছর বয়সে সারাজীবনের অসুস্থতা নিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
এরপর আমার বাবা ২০২০ সাল থেকে কিডনি জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহন শেষে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারী আমাদের ছেড়ে পরপারে পারি জমায়, আমার ভাই ও বাবার অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে আমি যে মানসিক কষ্ট ও শোক অনুভব করেছি সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এরপর থেকেই এমন দীর্ঘদিন শারিরীক অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য আমার মন কাঁদে। গত ২২ মে ২০২৪ ইং আমি বরগুনা পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ডস্থ জনৈক নেছার শরীফ এর পুত্র ভিকটিম জুবায়ের(১৭) এর দীর্ঘদিন অসুস্থতার খবর জানতে পেরে আমি জুবায়ের এর বসত বাড়ীতে যাই। আমি ওই বাড়ীতে যাবার পরে জুবায়ের এর নিস্পাপ মুখটা দেখে আমি কিছুটা ইমোশনাল হয়ে যাই।
অত:পর জুবায়ের এর পিতা মাতার কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি জুবায়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো, অসুস্থতার কারনে হাটতে না পারায় দীর্ঘ ০২ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে পাঠদানে অংশ গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়। জুবায়ের এর দীর্ঘদিন চিকিৎসার খরচ বহন করে আজ তার পিতা মাতা নি:স্ব হবার পথে।
বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের এই বেদনা ও শোক আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবায় এবং চোখে অশ্রু ঝরায়। বর্তমান সরকার আমার উপর যে মহান দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিয়েছে আমি আমার স্থান থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে এই পরিবারের পাশে দাড়াবো জানালেন বরগুনার মানবতার ফেরিওয়ালা প্রভাষক ফারজানা সুমি এমপি।