মোঃ আসাদুজ্জামান,বরগুনাঃ
বরগুনাঃ বরগুনায় নিত্য নতুন শাড়ি কাপড়, জুতা, গার্মেন্টস, প্রসাধনী, ইমিটেশন গহনা ও চশমার কালেকশন ও সংগ্রহ করতে আগে ভাগেই শপিং মল গুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সকল বয়সী মহিলা ও পুরুষ ক্রেতারা। ঈদের বাকি আর মাত্র ২-৩ দিন। শেষ মুহুর্তে শিশু, মহিলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত ঈদ শপিং এ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তবে বড় মার্কেটগুলোতে পণ্যের দাম বেশি নিচ্ছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। মধ্যবিত্ত, নিম্নধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা ফুটপাতের হকার মার্কেটগুলো থেকে তাদের কেনাকাটা করছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বরগুনার মিজান শপিং কমপ্লেক্স, গার্মেন্টস পর্টি, জুতা পট্টি, এর্শাদ মার্কেটসহ সবকয়টি মার্কেটে শেষ মুহুর্তে পুরো দমে জমে উঠেছে ঈদের আনন্দ। এবার বড় মার্কেট থেকে হকার পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত করা গেছে শেষের দিকে।
ক্রেতা মোঃ সুমন মিয়া বলেন, পরিবার নিয়ে বাজারে আসছি ঈদ শপিং করতে পছন্দমত কেনাকাটা করেছি তবে দামটা সাধ্যের চেয়ে একটু বেশি ছিল!
আরেকজন ক্রেতা মোঃ ইয়াকুব হোসেন বলেন, হকার মার্কেট থেকে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছে সাধ্যের মধ্যে ভালো কেনাকাটা করতে পেরেছি।
ইসলামিয়া বস্ত্রালয়ের তালুকদার বস্ত্রালয়, ইসলামিয়া বস্ত্রালয় ও গ্রামীণ বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটাররা বলেন, ক্রেতাদের পছন্দ মতো কেনাকাটা করতে পারছে ও আমাদের বেচাকেনাও মোটামুটি ভালো হওয়ায় এখন পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে বরগুনার ঈদ বাজার।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বাজার কমিটির (চেম্বার অফ কমার্স) সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, এবছর মার্কেটে ছেলে-মেয়েদের হরেক রকম পোশাক, মেয়েদের ব্যবহার্য নানা রকমের প্রসাধনি ও ইমিটেশনের গয়না, রয়েছে জুতাসহ ঈদ বাজারের প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদী। পাশাপাশি ঘুম নেই আমাদের বরগুনার দর্জিদের চোখে ও ফার্নিচারের দোকানেও। সকল ব্যবসায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুস ছালাম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বাহিনীকে বাজারের প্রতিটি মোড়ে মোতায়েন রাখা হয়েছে।