দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত নেত্রকোনার দুার্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচন বিধি অনুযায়ী কোনো প্রার্থী প্রাপ্ত বৈধ ভোটের ১৫ শতাংশ বা আট ভাগ ভোট না পেলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বুধবার (৮ মে) এই উপজেলায় প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০টি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৬০ হাজার ৩৭১টি। সেই হিসেবে জামানত রক্ষায় একজন প্রার্থীর ৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পাওয়া দরকার। নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল হাসান নীরা ওরফে সাদ্দাম আকঞ্জি ৩১ হাজার ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদুর রহমান (কৈ মাছ প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ১৪২ ভোট। বাকি পাঁচজন প্রার্থীর কেউই জামানত রক্ষায় পর্যাপ্ত ভোট পাননি।
অপরদিকে উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে গোলাম ফাহমি ভুঞাঁ (তালা) প্রতিকে ৪২ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছায়েদুর রহমান (টিউবওয়েল) প্রতিকে ১২হাজার ২৫৯ ভোট পেয়েছেন। এই পদে তিন জনের মধ্যে বাকী একজন প্রার্থী জামানত রক্ষায় পর্যাপ্ত ভোট পাননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার তপন চন্দ্র শীল বলেন, কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশের কম যারা ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত জমা দিয়েছেন।