এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
আমতলী পৌরসভা নিবার্চনে মোবাইল প্রতিকের মেয়র প্রার্থী হ্যালো সমর্থনে ভোটারদের টাকা দেয়ায় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপনকে অপর মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খানের সমর্থকরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপর দিকে হ্যাঙ্গার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের সমর্থক মিঠুকে মোবাইল প্রতিক প্রার্থী মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ ও পারভেজসহ ১০/১২ জনে কুপিয়ে আহত করেছে বলে জানায় আহত মিঠু। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে বরিশাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের গোরস্থান এলাকায় শনিবার রাত ১১ টার দিকে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভাংচুর ও লুটপাতের ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, আমতলী পৌরসভা নিবার্চনে মোবাইল প্রতিকের মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের পক্ষে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন শনিবার রাতে ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এ খবর পেয়ে অপর প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের সমর্থকরা বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ইউপি সদস্যকে তারা মারধর করে। তাকে রক্ষায় তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার সাথী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেছে এমন দাবী তার স্ত্রী সাথীর।
আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম ইউপি সদস্যকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। একই সময়ে হ্যাঙ্গার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের সমর্থক মিঠুকে মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ, পারভেজ, ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা, তারেক ও বাবুলসহ ১০/১২ জনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আহতকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মোবাইল প্রতিকের প্রাথর্ী মতিয়ার রহমানের সমর্থনে বেশ কয়েকদিন ধরে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ভোটারদের টাকা দিচ্ছিল। এতে বাঁধা দেয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
আহত মিঠু বলেন, হ্যাঙ্গার প্রতিকের মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁনের নিবার্চনী কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরছিলাম। এমন সময় মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদ, পারভেজ, ইসফাক আহম্মেদ ত্বোহা, তারেক ও বাবুলসহ ১০/১২ জনে আমাকে কুপিয়ে জখম করেছে। আমার অপরাধ আমি কেন হ্যাঙ্গার প্রতিক মেয়র প্রাথর্ীকে সমর্থণ করি? আমি এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবী করছি।
ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সাথর্ী বলেন,রাতে মিরাজ, পারভেজ ও সবুজ সহ ১০/১২ জনে মিলে আমার স্বামী ও আমাকে মারধর করেছে। তবে ইউপি সদস্যকে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খাঁন ইউপি সদস্য স্বপনকে তার সমর্থকরা মারধর করেছে এমন কথা অস্বীকার করে বলেন, মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমানের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী মিঠু নামের আমার এক সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছে।
মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান আরেক মেয়র প্রার্থী নাজমুল আহসান খানের সমর্থক মিঠুকে কুপিয়ে আহত করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার সমর্থক ইউপি সদস্য স্বপন ও তার স্ত্রীকে মারধর, তাদের ঘর বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভাংচুর ও লুটপাতের ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।