বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অফিস আদেশ জারির তিন দিন পর কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন দলিল লেখক সমিতি।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিকালে লিখিতভাবে কলম বিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনের সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মো. তামিম দুপুরে বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতি ও দলিল লেখকদের কিরুদ্ধে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে চাঁদাবাজী, অতিরিক্ত ফি আদায় ও বিভিন্ন অনিয়ম তুলে স্থানীয় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
ওই দিন বিকালেই দলিল লেখকদের চাঁদাবাজী, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে অফিস আদেশ জারি করেন বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মো. তামিম। সাব রেজিস্ট্রারের এই সাহসী উদ্যোগ গ্রহণের পর নড়েচড়ে বসে দলিল লেখকরা।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অফিস আদেশের পর সাব রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অসদাচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রোববার (১২ নভেম্বর) কলম বিরতির ঘোষণা দেন বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতি। তাদের দাবি এই সাব রেজিস্ট্রার মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই সবার সঙ্গে অসদাচরণ করে থাকেন।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক সরকার জানান, ৯ নভেম্বর সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মো. তামিম দাতা ও গ্রহিতার সামনে দলিল লেখকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং হয়রানিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। উল্টো তিনি আমাদের বিরুদ্ধে অফিস আদেশ জারি করেন, এটা দু:খজনক। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছি।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. ফিরোজ মিয়া জানান,সাব রেজিস্ট্রার একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ। তিনি যখন তখন সবার সাথে খারাপ আচরণ করেন । তিনি যতক্ষণ আছেন আমরা কোন দলিল লিখব না। অবিলম্বে তাকে সড়াতে হবে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মো. তামিম জানান,দলিল লেখক সমিতি ও কতিপয় দলিল লেখক সেবা গ্রহিতাদের কাছে চাঁদাবাজী ও দুর্নীতি করে আসছেন।
আমি দলিল লেখক সমিতির দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমি যতদিন আছি জনস্বার্থ সংরক্ষণ করব এবং সরকারি নিয়মের বাইরে কোন কাজ করব না।
উল্লেখ্য গত ১৫ অক্টোবর আবদুর রহমান মো. তামিম সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন। তিনি এসেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলিল লেখকদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব জড়িয়ে যান। বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকরা।