এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
আমতলী উপজেলার ঘটখালী গ্রামের তহমিনা (৫৫) নামের এক বৃদ্ধা নারীকে প্রতিবেশী আবুল সিকদার ও তার ছেলে সাদ্দাম সিকদার পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারী ও তার ছেলে সোহাগ মৃধাকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত তহমিনাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার দুপুরে আমতলী উপজেলার ঘটখালী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার ঘটখালী গ্রামের আব্দুর রব মৃধা মাঠ থেকে গরুর জন্য ঘাস কেটে নিয়ে আসে। এ নিয়ে রব মৃধা ও প্রতিবেশী আবুল সিকদারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় আবুল সিকদার বৃদ্ধ রব মৃধাকে মারধর করে। খবর পেয়ে ছেলে সোহাগ মিয়া ঘটনাস্থলে আসলে আবুল সিকদার ও তার ছেলে সাদ্দাম সিকদার সোহাগ মৃধাকে মারধর করে। ছেলেকে রক্ষায় মা তহমিনা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও তারা পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়।
স্থানীয়রা আহহদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক গুরুতর আহত তহমিনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
আহত সোহাগ মৃধা বলেন, গরুর জন্য ঘাস কাটায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বাবাকে আবুল সিকদার ও তার ছেলে সাদ্দাম মারধর করেছে। আমি বাবাকে মারধরের বিষয়টি জানতে গেলে আমাকে পিটিয়ে জখম করেছে। আমাকে রক্ষায় আমার মা তহমিনা এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
এ বিষয়ে আবুল সিকদার মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, আহত নারীর হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।