এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী থেকেঃ
বরগুনার তালতলীতে ককটেলসহ বিএনপির ৩ কর্মীসহ মোট ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে বড়বগী ইউনিয়নের ছাতনপাড়া গ্রাম থেকে ৫টি ককটেলসহ মাছুম, রুবেল ও নান্টু হাওলাদারকে এবং মারামারি মামলার পলাতক আসামী হুমাউন ও শাহরিয়ারকে পুরাতন মামলার আসামী হিসেবে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচীকে সফল করতে নাশকতার জন্য বিএনপি এবং জামাতের অনেক নেতাকর্মী সোমবার রাতে বড়বগী ইউনিয়নের ছাতন পাড়া গ্রামে ককটেল নিয়ে অবস্থান করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ওই গ্রামের দেলোয়ারের বাড়ীর পাশ থেকে মাছুম মৃধা, রুবেল হাওলাদার ও নান্টু হাওলাদারকে ৫টি ককটেলসহ আটক করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তালতলী থানার পুলিশ মাছুম মৃধা, রুবেল হাওলাদার ও নান্টু হাওলাদারের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত আসামী করে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া পুরাতন মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত মামলার আসামী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. হুমায়ুন কবির ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. শহীদুল হকের ছেলে মো. শাহরিয়ার আহম্মেদ নাঈমকে গ্রেফতার করে।
এনিয়ে বিএনপির মোট ৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম খান জানান, বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ন ও নাঈমকে পূর্বের মামলার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৫টি ককটেলসহ বিএনপি’র ৩ কর্মীকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের সাথে থাকা জামাত বিএনপির আরো অনেক কর্মীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তালতলী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার পর আটক ৩ জনসহ মোট ৫জন কে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।