
এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
সাগর ও নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ ভাবে মাছে মাছ শিকার করে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে ঢাকায় পাচারের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আমতলীর-ঢাকা- রুটের আঞ্চলিক মহাসড়কের মানিকঝুরি নামক স্থান থেকে বাস আটক করে বিভিন্ন প্রজাতির ২৬ মণ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে নিলামে বিক্রি ও এতিমদের মধ্যে বিতরন করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার সময় মাছ জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, একটি অবৈধ মাছ পাচার কারীদল ধীর্ঘদিন ধরে তালতলী উপজেলা থেকে তালতলী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসে কওে মাছ পাচার করছে। সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খানের নেতৃত্বে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও পুলিশের সহযোগিতায় মিজান পরিবহনের একটি বাস উপজেলার মানিকঝুরি নামক স্থানে আটক করা হয়। পরে বাসটির ভিতর এবং বাঙ্কাওে তল্লাসী করে ইলিশ, লইট্যা, টাইগার চিংড়ি ও ভুলাসহ ২৬ মন সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। জব্দ করা মাছ রাত সাড়ে ১০টার সময় উপজেলা পরিষদের সামনে এনে নিলামে ৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এবং কিছু মাছ রেখে হতদরিদ্র পরিবার ও এতিদখানার শিশুদের মধ্যে বিতরন করা হয়।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিওিতে জানতে পারি নিষিদ্ধকালীন সময়ে সমুদ্র থেকে বিপুল পরিমাণ মাছ আহরন করে একশ্রেণির অসাধু জেলে তালতলী থেকে ঢাকাগামী মিজান পরিবহনে অবৈধভাবে পাচার করছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তাদের সহযোগিতায় আমতলীর মানিকঝুড়িতে চেক পোস্ট বসিয়ে ঢাকাগামী মিজান পরিবহন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। যার মধ্যে ছিলো ইলিশ,সাদা চিংড়ি, লইট্টা,ভুলা ও টাইগার চিংড়ি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, তালতলী থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী মিজান পরিবহনে অবৈধভাবে মাছ পাচারের খবর পেয়ে মানিকঝুড়ি নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বাস তল্লাসি করে বিপুল পরিমান সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। পরে মাছগুলো ৭৬ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। কিছু মাছ রেখে তা হতদরিদ্র পরিবার ও এতিমখানর শিশুদেও মধ্যে বিতরন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এভাবে অবৈধ মাছ পাচাওে যাতে আমতলীর সড়ক কেউ ব্যবহার করতে না পাওে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে টহল বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।