কুয়াকাটা সংবাদদাতাঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় মো.হালিম হাওলাদার (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ি গুরুতর জখম হয়েছে। তারা বাম হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারত্মক জখম করে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মৎস্যবন্দর আলীপুরের মোশারেফের খাবার হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হালিমের ভাই মো: মস্তফা হাওলাদার বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ছয়জনকে আসামি করে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে হালিম নাস্তা খাওয়ার জন্য মোশারেফের হোটেলে যান। ওই সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা শাহিন ও তার সঙ্গীরা দেশীয় অস্ত্র- চাপাটি, দা, ছেনা দিয়ে হালিমের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়। তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। হালিমের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে তার শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আহত হালিম ও শাহিন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হয়। তাদের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কিছু দিন আগে শাহিন ও তার বড় ভাই রাসেলের সাথে হালিম ও তার ভাইদের মারধর হয়। এরই জেরে শাহিনের নেতৃত্বে সুমন, রাজু, রিয়াজ বানাই ও রুবেল এমন সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছে।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, “শাহিন-সুমন ক্যাডার বাহিনী নেপথ্যে মো: নজরুল ফকির। তার নেতৃত্বেই এই বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী তাণ্ডবসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে, আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।”
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ফেরদৌস আলম খান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।