সুমন কুমার নিতাই,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৫ শতক জমিতে জনস্বার্থে নির্মাণ করার কথা ছিল ট্রাক টার্মিনাল। সড়ক বিভাগের সেই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছেন সাবেক এক অতিরিক্ত সচিব। সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোটিশ দিলেও তিনি নির্মাণকাজ বন্ধ করেননি। এরই মধ্যে তিনটি দোকান ভাড়াও দিয়েছেন। অভিযোগ ওঠা এই সরকারি কর্মকর্তা হাইয়ুল কাইয়ুম। কাইয়ুমের বাড়ি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম এলাকায়। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। অবসরে যান ২০২০ সালে।
স্থানীয়রা জানান, কুন্দারহাট এলাকায় ধানের বড় বাজার মহাসড়কে বসায় যান চলাচলে দুর্ভোগ হয়। এ কারণে মহাসড়কের পাশে ১৯৬৩ সালে অধিগ্রহণ করা জমিটিতে ট্রাক টার্মিনাল করার পরিকল্পনা ছিল স্থানীয় প্রশাসনের। তিন বছর আগে ওই জমিতে কলাগাছ লাগিয়ে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন হাইস্কুল কাইয়ুম। এর আগে ২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকায় জমিটির পাশে ২১৩ শতক জায়গা কেনেন ওই সরকারি কর্মকর্তা। এর পরই সরকারি জমি দখলে পায়তারা শুরু করেন তিনি। সবশেষ এক সপ্তাহ আগে দোকান নির্মাণ শুরু করেন।
স্থানীয় কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম আর জামান রাসেল বলেন, হাইয়ুল কাইয়ুম সরকারের সাবেক বড় কমকর্তা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। তবে এলাকাবাসী সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জানিয়েছে। তিনি জানান, এই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ কেনার অভিযোগ দুদকে (দুর্নীতি দমন কমিশন) রয়েছে এলাকায়ও তিনি কয়েক কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন। বুড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর জিয়া রহমান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ওই জমিতে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। তবে হঠাৎ করে ওই জায়গায় একজন মার্কেট নির্মাণ শুরু করেছেন বলে শুনেছি। ট্রাক টার্মিনালটি হলে পুরো উপজেলার কৃষক ও ধান ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতেন। এ বিষয়ে হাইয়ুল কাইয়ুম বলেন, সরকারি ওই জমির তিন পাশে আমার ২১৩ শতক জায়গা রয়েছে। আমি শুধু সরকারি জায়গাটি সংরক্ষণে কলাগাছ লাগিয়ে রেখেছি। অল্প কিছু জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করছি। এতে দুই-তিনজনের কর্মস্থান হবে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। স্থাপনা সরিয়ে না নিলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।