এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার পায়রা নদীর বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চল। টানা তিনদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। জলাবদ্ধতা কারনে বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় রান্নার চুলো জ্বলেনি অনেকের ঘরে। টানা তিনদিন ধরে এ অবস্থা চললেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ পানিবন্দি পরিবারের। উঁচু বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে উপকূলকে রক্ষার দাবি পানিবন্দি মানুষের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, বৈঠাকাটা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আমুয়ার চর, আঙ্গুরকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষের ঘর বাড়ীসহ ফসলি জমি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও পায়রা নদীতে তীব্র জোয়ারে আমতলী ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশুসহ সবাই কোমর সমান পানির মধ্যে দিয়ে তীরে উঠছেন।
বৈঠাকাটা গ্রামের বারেক হাওলাদার ও রফিক মিয়া জানান, শুক্রবার ১২ টার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে ৩-৪ ঘন্টা তাদের পানিবন্ধি থাকতে হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন সমস্যা হয় তাদের।
একই গ্রামের গৃহবধু কুলসুম আক্তার বলেন, পানিতে তাদের রান্না ঘর তলিয়ে যাওয়ায় রান্নায় সমস্যা হচ্ছে। দুর্ভোগ আর অসহায় জীবনযাপন করলেও নজর নেই কারো এমন অভিযোগ বাঁধের বাইরে থাকা নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দী পরিবারগুলোর।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু কোথাও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করেনি।