সোহরাব বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের মানুষ ভালো আছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় এনে প্রমাণ করবেন এদেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছেন বলেই বাংলাদেশ ভালো আছে, দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মাসেতু হয়েছে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের মানোন্নয়ন হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো। সাংবাদিকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী, বরগুনা -১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যাদের ঘর নেই তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘর দিচ্ছে। যাদের জমি নেই তাদের জমি দিচ্ছে, এবং অনেক প্রকার ভাতা দিচ্ছে। যা ইতিহাসে বাংলাদেশে কোনো সরকার এতো ভাতা প্রদান করেনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনা ফজরের নামাজের পড়ে আঠারো ঘণ্টা এদেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন এদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবেন না, না খেয়ে থাকবে না, চিকিৎসার অভাবে মারা যাবে না, তারই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা শেখ হাসিনা, গৃহহীনকে ঘর, খাদ্যহীনকে খাদ্য, চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
কখনো পলায়ন করে না বরং জনগণের সাথে থেকে তাদের উন্নতির জন্য কাজ করে যায়।
তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে দেশবাসীকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করারও আহ্বান জানান।
জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝার মোকাবিলা করতে হয়েছে। যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের একটাই লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগ ধ্বংস করা, আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেয়া। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই।
অথচ এ দেশ ও জাতির যা কিছু অর্জন, তার সবই আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। এ দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগই দিয়েছে। ভাষা আন্দোলন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস, সাত মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতা, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যুক্তফ্রন্ট সরকার থাকতে এ দেশে যা কিছু হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রী হিসেবে তা করে দিয়েছেন।
এমপি শম্ভু বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। ফলে ভাগ্য বদলে গেছে প্রায় ৫০ লাখ অসহায় মানুষের। দেশজুড়ে প্রায় ২৭ হাজার ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতিমাসে ৭০ লাখ মানুষকে সেবা দিচ্ছে সরকার। যেকোন তথ্য-প্রযুক্তিগত সেবার জন্য আপনার নিকটস্থ ডিজিটাল সেন্টারে যাবেন।
সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার। নারী, শিশু ও সেবাপ্রার্থীদের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২৭ রকম ওষুধ ও সেবা। নদী ভাঙ্গন ও নবসৃষ্ট এলাকাসহ মোট ৩৬৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ২৭৭৬টি হাট-বাজার উন্নয়ন, ১২৪৬টি সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে।
২০০৬ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ছিল (লাখে) ৩৭০ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে কমে মাতৃমৃত্যুর হার ১৬১ জনে। এরই ধারাবাহিকতায় আমতলী- তালতলী সোনা কাটা আঞ্চলিক সড়ক , ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বরগুনা আধুনিক হাসপাতাল, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নার্সিং ইনস্টিটিউট , বরগুনা -বাকেরগঞ্জ -বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক সহ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এই সংসদের আমলে হয়েছে । অন্যদিকে বর্তমানে বরগুনার তালতলীতে বিশাল জাহাজ নির্মাণ শিল্প, নৌ বাহিনীর ঘাঁটি , কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পায়রা বিষখালী নদীতে দুইটি বৃহত্তর সেতু , একাধিক ইকোনমিক জোনসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলমান রয়েছে ,এ সব সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। তিনি বলেন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে পুনরায় সুযোগ দিলে বরগুনা ১ আসনের সাধারণ ভোটারদের ভোটে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসনটি উপহার দিতে পারব।