এস এম নাসির মাহমুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
প্রতিবন্ধী চন্দ্রবান বিবির মৃত্যুর দুই বছর পরেও ভাতা উত্তোলন করছেন হাফিজা নামক এক নারী। ওই প্রতিবন্ধীর ভাতা তোলার বিষয়টি তার স্বজনরা কেউ জানেন না। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বজনরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে উপজেলা সমাজসেবা অফিস চলাভাঙ্গা গ্রামের মৃত মোন্তাজ উদ্দিন চৌকিদারের প্রতিবন্ধী মেয়ে চন্দ্রবান বিবির নামে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়। ছয় মাসের ভাতা উত্তোলন করে ওই বছর জুন মাসে তিনি মারা যান। তার ভাতিজা সোহেল চৌকিদারের দাবি ফুফুর মৃত্যুর পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান চৌকিদারের কাছে তার ভাতার বই জমা দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের দাবি- প্রতিবন্ধীর ভাতার বই এবং মৃত্যু তালিকা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দেন; কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা অফিস তার ভাতা বন্ধ করেনি। গত দুই বছর ধরে হাফিজা নামক এক নারী তার বিকাশে ওই ভাতার টাকা তুলে নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাফিজার বাড়ি কলাপাড়া পৌর শহরের মঙ্গলসুখ সড়কে। তার বাবার নাম সুজাউদ্দিন মুন্সি।
প্রতিবন্ধী চন্দ্রবান বিবির ভাইয়ের ছেলে সোহেল চৌকিদার বলেন, ফুফুর মৃত্যুর পরেই তার ভাতার বই ইউপি সদস্য হাবিবুর রমান চৌকিদারের কাছে জমা দিয়েছি। এরপর আর ভাতার টাকার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অভিযুক্ত হাফিজা বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিকাশ নম্বরে টাকা আসে। ওই টাকা আমি তুলে নেই।
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান চৌকিদার বলেন, প্রতিবন্ধী চন্দ্রবান বিবির মৃত্যু তালিকা সমাজসেবা অফিসে জমা দিয়েছি। তারা ভাতা বন্ধ করছেন কিনা আমি জানি না।
আমতলী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক কাওসার বলেন, প্রতিবন্ধীর মৃত্যুর বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ অবহিত করেনি। গত ২৩ মে ওই প্রতিবন্ধীর ভাতা বিকাশ নম্বরে দেওয়া হয়েছে। ওই ভাতা ওই নম্বর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।