কাজী নজরুল ইসলাম চাঁদপুর থেকেঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে চাঁদপুরে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের সমর্থক ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ৩ মে রাত সোয়া ৮ টায় সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দু পক্ষের সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে অর্ধশতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ২৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
আহতরা হলো চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের এসআই মুকবুল হোসেন, এএসআই কার্তিক চন্দ্র নাথ, কনস্টেবল মারুফ, আপেল, ফারুক ও অন্তত ১৫ জেলে। এরমধ্যে এসআই মুকবুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে জেলেদের চাল বিতরণের সময় নিবন্ধিত জেলেরা চাল না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে ঘিরে রাখে। এ সময় চেয়ারম্যান সমর্থক ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ও হামলার শিকার হয়। আহতদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওই ইউনিয়নের সাড়ে চার হাজার কার্ডধারী জেলের চাল বিতরণ চলছিল। তবে জেলের তুলনায় চাল কম হওয়ায় ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০-৫০ জন জেলেকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এজন্য বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের নির্দেশে চাল বিতরণ বন্ধ ঘোষণা করা হলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, ‘রাতে সেখানে চাল বিতরণের অনিয়ম নিয়ে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজন মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মহসীন আলম বলেন, ‘আমরা সেখানে হামলার ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাই। এ সময় আমাদের ওপর চারপাশ থেকে হামলা চালানো হয়। এ সময় বাধ্য হয়ে ফাকা গুলিবর্ষণ করি। পরে দেশিও অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় আমাদের একজন এসআইসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তবে অন্য কেউ আহত আছে কিনা জানা নেই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’