কাজী নজরুল ইসলাম,চাঁদপুরঃ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার ৩ জুলাই চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান মরদেহ উদ্ধার হয় | ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ঝালকাঠি থেকে তার মরদেহ নিয়ে রওয়ানা দিয়ে চাঁদপুরে এসে পৌঁছায় মধ্যরাতে।
মরদেহটি চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শোকাহত পরিবারের মাঝে শোকের মাতম | মাসুদুর রহমান সহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার এর বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্ব পালন কারী স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম |
মঙ্গলবার ৪ জুলাই সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সোবানপুর গ্রামের নিজ বাড়ীতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বেলায়েত হোসেন বিল্লাল গাজী। তিনি বলেন, আমি নিজে নামাজে জানাযায় উপস্থিত ছিলাম।
মাসুদুর রহমান ওই জাহাজের ইঞ্জিন ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে জাহাজের ৪ জনের সাথে তিনিও নিখোঁজ ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাগড়া বাজার সোবানপুর গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে। পরিবার নিয়ে চাঁদপুর শহরের ছৈয়াল বাড়ি রোডে বাড়ীতে থাকতেন।
মাসুদুর রহমান বেলাল দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে একটি প্রাইভেট মেডিকেলে শেষ বর্ষে এবং ছোট মেয়ে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়েন।
গত ১ জুলাই শনিবার দুপুর ২টার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাটের বিপরীত পাশে নোঙর করা অবস্থায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির তেল বোঝাই ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ওই জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের ওপরে থাকা মাস্টার ব্রিজটি পুরোপুরি ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। ওই ঘটনায় মাসুদুর রহমান বেলালসহ ৪ জন নিখোঁজ হন। সোমবার (৩ জুন) বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়।