রনি আকন্দ,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ কর্মী নাজমুল হোসেন ফকির কালাই থানা বিএনপির এক নেতার মদদে শ্রমিক অফিসে আটকে রেখে মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামকে মারধর করেন। বর্তমানে জাহিদুল ইসলাম জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন শ্রমিক অফিসে এই ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মামুনুর রশিদ,বাদেশ, বাদশাহ ও রুবেলসহ একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর ‘আ.লীগ কর্মীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির নেতা’ শিরনামে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঐ সংবাদে মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামের বক্তব্য প্রকাশ পায়। এই ঘটনার জের ধরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কালাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেনের মদদে আওয়ামীলীগ কর্মী নাজমুল হোসেনের নেতৃতে মাত্রাই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলামকে বেধর মারপিট করা হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
ভুক্তভুগী জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘আ.লীগ কর্মীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির নেতা’ শিরনামে প্রকাশিত সংবাদে আমার বক্তব্য প্রচার হয়। এতে সাংগঠনিক ভাবে চাপের মুখে পরেন বর্তমান কালাই থানা বিএনপি আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন ফকির। বিষয়টি আওয়ামীলীগ কর্মী নাজমুলকে জানালে উত্তেজিত হয়ে নাজমুল তার লোকজন নিয়ে আমাকে মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনি প্রাণনাশের আশংঙ্কায় আছেন বলেও জানান।
এই বিষয়ে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় মাত্রাই বাজারে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি।
কালাই থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মারামারির বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে আমাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সত্য নয়।