সোহরাব হোসেন,বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজলার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর ও ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার এর বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বন উজার করে ও নদীতীরে চর ভরাট করে দখলের অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি জমি দখলে নিয়ে সব বিক্রি করে দিচ্ছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। পরিবেশবিদরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এ বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক।
জানা গেছে বরগুনা জেলার ,পাথরঘাটা উপজেলার, কাকচিড়া ও সদর উপজেলার বদরখালি ইউনিয়নের মধ্যবর্তি বিষখালী নদীর বুকে প্রায় ৬০০ একর বিস্তার নিয়ে গড়ে জেগে ওঠা মাঝের চরে আশির দশকে বসতি শুরু হয়। দুই ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা ১৯৮৪ সালে চর দখল নিতে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার পর জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে একাংশ বরগুনা সদর ও বাকি অংশ পাথরঘাটা উপজলার সীমানা নির্ধারণ করে দেয় । যার মধ্যে পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়নের মধ্যে পরছে চরটির ৩২৫ একর ভুমি। আর এই অংশেরই খাস জমি দখল করে, স্থানীয়দের মাঝে তা বিক্রি করে দখল বানিজ্য চালাচ্ছেন, কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। সাথে দোসর হিসেবে রয়েছেন, চেয়ারম্যান এর ছেলে রাজিব ও অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার।
স্থানীয়রা বলেন , শুধু দখলই নয়, কেটে উজার করছেন সংরক্ষিত বনাঞ্চল। অত:পর সেখানই ভেকু দিয়ে মাটি কেটে, জায়গা বানিয়ে, আবার চরেরেই বালু অবৈধভাবে উত্তালন করে , করছেন জমি ভরাট। এরপর আবাসনের নামে, জনগনের কাছে বরাদ্দর নামে করছেন বিক্রি।
চর দখল ও বিক্রির বিষয় জানতে একাধিকবার চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজী হননি। তবে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার দুর্নীতির অপরাধ আড়াল করতে চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন সরকারি জমি দখল করে গাছ কেটে , জমি প্লট করে বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই , কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।