বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রীখে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি ইয়াসিনকে (২৩) চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ও র্যাব- ৭’র যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২১ জুন বুধবার রাতে তাকে চট্টগ্রাম থেকে বানারীপাড়া থানায় নিয়ে আসার পরে ২২ জুন বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৯ জুন সোমবার ভোর সাড়ে ৬ টায় বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামী সোহাগকে (২৪) গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১১ জুন রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী ছবি বাসায় একা দাবি করে সুসম্পর্ক থাকা প্রতিবেশী নার্গিস বেগমের মেয়ে দশম শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে তার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করেন। মায়ের সম্মতিতে সরল বিশ^াসে তার সঙ্গে ঘুমাতে গেলে রাত ১২ টার দিকে রুবিনা আক্তার ছবি ওই ছাত্রীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে একই গ্রাামের জলিল হাওলাদারের পূত্র সোহাগ (২৪) ও সায়েদ মোল্লার পুত্র মেহেদীর (২৭) হাতে তাকে তুলে দেয়। এসময় সে ভয়ে ডাক চিৎকার দিতে গেলে তার ওড়না দিয়ে মুখ বেধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশেই পরিত্যক্ত একটি বসত ঘরে নিয়ে ওই দুই লম্পট তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তা ভিডিও ধারণ করে রাখে। প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবি ও ইয়াছিন দলবদ্ধ এ ধর্ষণে ধর্ষকদের সহায়তা করেন।
১২ জুন সোমবার রাতে ভিকটিমের মা নার্গিস বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের সোহাগ (২৪), মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে আসামী করে এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরেই আসামীরা আত্মগোপন করেন।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে র্যাবের সহায়তায় আসামি ইয়াছিনকে গ্রেফতার করে বরিশালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।