
কাজী নজরুল ইসলাম, চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন কারি স্ত্রী কল্পনা বেগমকে আটক। মঙ্গলবার ২৪ জুন দুপুর দেড়টার দিকে গ্রামে আসলে এলাকাবাসী কল্পনাকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটকের পর কল্পনা বেগম বলেন, উজ্জ্বল মিথ্যা কথা বলে আমাকে বিয়ে করেছে। আমার আগে তার দুই স্ত্রী ছিল। আমাকে বিয়ের করার পরও আরেকটি বিয়ে করে। আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমার কোনো খোঁজ নেয় না। আমি ও আমার দেড় বছরের মেয়ে রোজা আক্তারের কোনো খরচ দেয় না। উল্টো মারধর করত। আমি ডিভোর্স চাইলে সে দেয়নি। ঘটনার দিন আমাকে নিয়ে যেতে আমাদের বাড়িতে আসে। রাতে রাগের মাথায় ব্লেড দিয়ে কাজটা করেছি। পরে তার পুরুষাঙ্গ পুকুরে ফেলে দিয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজ্জ্বলের প্রথম স্ত্রী আফরোজার ঘরে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে, দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা, তৃতীয় কল্পনা বেগম এবং ৪র্থ স্ত্রীকে নিয়ে উজ্জ্বল কুমিল্লা শহরে বসবাস করতেন।কল্পনার নিজের অতীত জীবনও বিতর্কিত। তিনি এর আগেও দাউদকান্দির পদুয়া গ্রামের মো. জামালের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন এবং সেই জামাল হত্যার ঘটনায় কল্পনা এক বছর জেল খেটেছেন বলে জানা গেছে। সেখানেও তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
রাতের ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মো. উজ্জ্বলের ফোন থেকে তার আরেক ৪র্থ র্স্ত্রী ফারজানাকে কল করে বিষয়টি জানান। এরপর ফারজানা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও সংবেদনশীল। অভিযুক্ত কল্পনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।