এস এম নাসির মাহামুদ,আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনা আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বিরোধীয় জমির বিষয়ে স্থানীয়ভাবে দুপক্ষের উপস্থিতিতে একাধিকবার মীমাংসায় জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা দিলেও তা দেননি জলিল ঘরামী ও তার ছেলে আলমগীর ঘরামী।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এস এ ৫১৭নং খতিয়ানে ছাফ কবলা দলিলমূলে ঘাটতি বাদে ১.৪৮ একর জমির মালিক আমরা।
এ ঘটনায় ১৬আগষ্ট ২০২১ ইং প্রথমে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা মীমাংসা করে ১.৪৮ একর জমি বুঝিয়ে দিতে রায় দেন। রায় দিলেও মামুন সিকদার ও তার অংশিদাররা বুঝে পাননি তাদের প্রাপ্য জমি।
পরবর্তীতে মামুন সিকদার গংদের অভিযোগের ভিত্তিতে ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২য় দফায় মো, আল আমিন প্যাদা ও অ্যাডভোকেট মো, জহিরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসিতে ১.৬১ একর জমির দখল বুঝিয়ে দিতে রায় দেন। রায়ে উভয়পক্ষ সম্মতিতে স্বাক্ষর দেন। শালিসিগন রায় দিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে বললেও প্রতিবারের মত জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা করেন তারা।
এ নিয়ে আবারও গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং মো, আল আমিন প্যাদা, অ্যাডভোকেট মো, জহিরুল ইসলাম ও মো, মনির মোল্লাসহ স্থানীয় শালিসিগন ৩য় দফা উভয়পক্ষকে নিয়ে জমির সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই ও হিসাবে ১.৪৩ একর জমির রায় দেন মামুন সিকদার ও তার অংশিদারদের পক্ষে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মামুন সিকদার বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে জমি জোরপূর্বক দখল করে আছে। তাতে গাছ পালা লাগিয়েছে ও কৃষি চাষ করিয়াছে। একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য শালিসিগনের রায়ে আমরা জমি পেয়েছি কিন্তু আঃ জলিল ঘরামী ও তার ছেলে কোন শালিসি আইন কানুন মানেনা। এবং এখনও আমাদের প্রাপ্য জমি বুঝিয়ে দেননি। আমি দীর্ঘ ধরে হয়রানির শিকার হয়ে আসছি। জমির বুঝ চাইতে গেলে আমাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জীবন নাশের হুমকি দেন।
অভিযুক্ত জলিল ঘরামী স্বীকার করে বলেন, আমার কাছে ২৩ শতক জমি পাইবে বাকি জমি বুঝিইয়া দেয়া হইছে। তারা চাইলে আমি বসতে রাজি আছি।
এ ঘটনায় আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাইনি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।