লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে মমতাজ বেগম নামে এক নারীর বিবস্ত্র ও খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কসাই যেভাবে মাংস কাটে, সেভাবে তার দুই হাত-পা কাটা হয়েছে। একটি বীভৎস দৃশ্য ছিল।
তবে নিহতের ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম রকিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজে পেলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানায় এসপি।
মাহফুজ্জামান আশরাফ আরও জানান, স্টাফ কোয়ার্টারে রক্ত দেখা গেছে বলে রাতে ৯৯৯ এ কল আসে। তখন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল আসে। বাসার সামনের দরজা বন্ধ ছিল। এতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পেছনের দরজা দিয়ে বাসায় ঢোকে পুলিশ। ঢুকতেই মাংসের টুকরো পড়ে ছিল। তখনও বোঝা যায়নি সেটি কিসের মাংস। পরে একটি চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় মমতাজের বেগমের শরীরের কাটা অংশ দেখতে পাওয়া যায়।
মমতাজের বড় ছেলে শরীফুল ইসলাম বাপ্পীসহ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসপি জানান, চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন কুশাখালী গ্রামের বাড়িতে মমতাজ ও তার বড় ছেলে বাপ্পী ঈদ করতে যায়। কিন্তু ছোট ছেলে রকি সেখানে ঈদ করতে যায়নি। সে তিন দিন ধরে কোয়ার্টারেই ছিল। ছোট ছেলের সঙ্গে মমতাজের মনমালিন্য ছিল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০-১১টার দিকে বড় ছেলে রকি তার মাকে বাসে তুলে দেয় এখানে আসার জন্য। কিন্তু তখন বড় ছেলে আসেনি। এখানে ছোট ছেলে ছিল।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মমতাজ এখানে আসার পরই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ছোট ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। বাপ্পীও তার ছোট ভাইয়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কি কারণে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে, কারা ঘটিয়েছে। অচিরেই তা বের হয়ে আসবে। মমতাজের দুই মেয়ে আছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
পুলিশ জানায়, নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। স্বামী মতিন মারা যাওয়ার পর থেকেই মমতাজ তার দুই ছেলে বাপ্পী ও রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছেন। তার বড় ছেলে বাপ্পী বর্তমানে মাস্টার রুলে সড়ক বিভাগে কাজ করছে।