বরগুনা প্রতিনিধিঃ
চলমান কোটাবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় ৪০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, রাস্তাঘাটে জ্বালাও পোড়াওসহ ধ্বংসাত্বক কার্যক্রম চালিয়েছে বিশেষ একটি মহল। এ সকল দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণ করতে সারাদেশে কার্ফিউ জারি করে সরকার।
দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও তাদের উষ্কানিদাতাদের চিহ্নিত করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ অভিযানের অংশ হিসেবে বরগুনা জেলায় নাশকতার অভিযোগে ৪০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলার ছয়টি উপজেলার সকল থানায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, দেশে জরুরী অবস্থা জারীর পর থেকেই নাশকতার আশংকায় গ্রেফতার হওয়া সকলেই পূর্বের নাশতার অভিযোগের মামলার আসামি।
বরগুনা সদর থানায় ৮জন, আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গ্রেফতারের সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে গ্রেফতারের বিষয়টি এড়িয়ে যান, তালতলী থানায় ৫ জন, পাথরঘাটা থানায় ৬ জন, বামনা থানায় ৩ জন ও বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আটকের সংখ্যা পরে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
এছাড়াও নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার অভিযোগে জেলার একমাত্র বামনা থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে। এমামলায় সাইমুল ও জাফর নামের ২জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার মন্ডল বলেন, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হচ্ছিলো।
এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপস্থিত জামায়াত নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইমুল ও জাফর নামক দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময় ঘটস্থল থেকে বেশ কিছু জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়।
বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, দেশের সম্পদ নষ্টকারী ও নাশকতার আশংকায় বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলায় ৩৮জন ও বামনা থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আরো ২ জনসহ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত মোট ৪০ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের সম্পদ নষ্টকারী বাকী দুর্বৃত্ত ও নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে।