নজরুল ইসলাম,চাঁদপুরঃ
নিষেধাজ্ঞার দুই মাস পর চাঁদপুরের আড়তগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী মিলছে ইলিশ। তবে বাজার সয়লাব চেউয়া, আইড়, চিংড়িসহ দেশীয় মাছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযান সফল হলেও ইলিশের মৌসুম এখনই নয়। তবে দ্রুত বাজার দখলে নেবে ইলিশ।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে শহরের বড়স্টেশন মাছঘাট, পুরানবাজার, বহরিয়া, হরিণা মাছঘাট ও আনন্দবাজার মাছঘাটে গিয়ে মাছের এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ কারণে বরফ ব্যবসায়ীরাও হতাশ।
বড়স্টেশনের বরফ কর্মচারী সোহাগ বলেন, ইলিশের মতো অন্যান্য দেশীয় মাছ তেমন রপ্তানি বা বাজারজাত হয় না। আর আশপাশের খুচরা ক্রেতাদের দেশীয় মাছের জন্য বরফ লাগে না। তাই ইলিশ সরবরাহ কম হওয়ায় বরফ তেমন প্রয়োজন হচ্ছে না বলে অলস সময় কাটাচ্ছি।
সদরের হরিণা মাছঘাটের আড়তদার আনোয়ার বলেন, পদ্মার ইলিশের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তেমন মাছ ঘাটে আসছে না। অভিযান সফল হয়নি, বরং অভিযানে অসাধুতার কারণে দুষ্টু জেলেরা নির্বিচারে ইলিশ ধ্বংস করেছে। তাই ঘাটে ইলিশ তেমন নেই।
আনন্দবাজারের আড়তদার মালেক বলেন, আমরা দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা করে বিক্রি করছি। দাম বেশি হওয়ায় মানুষ কম দামে দেশীয় মাছ কিনে নিচ্ছে। যেমন ১ কেজি লাল চেউয়া মাছ মাত্র ৩০০ টাকা, ১ কেজি চিংড়ি ৫০০ টাকায় এবং ১ কেজি ওজনের আইড় মাছ ৭০০ টাকায় নিতে পারছে। মানুষ এখন সস্তাটাই বেশি খোঁজে।
নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশের আকাল প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, অভিযান সফল বলেই বাজারে ইলিশের পাশাপাশি দেশীয় নানা জাতের মাছ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ইলিশ তুলনামূলক কম হওয়ার কারণ হচ্ছে নদীর মূল পয়েন্টে বহিরাগত জেলেরা মাছ ধরে ফেলছে। যার কারণে তারা চাঁদপুরে মাছগুলো না এনে অন্যান্য জেলায় ইলিশগুলো নিয়ে যাচ্ছে। ফলে চাঁদপুরের আড়তগুলোতে ইলিশ কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া আবহাওয়া ও পানির গুণাগুণের কারণে এখন ইলিশ একটু পাওয়া গেলেও দ্রুতই তা বাড়বে বলে আশা করছি।