
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নে ইয়াছিন আরাফাত শাকিলকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.হাবীবুর রহমান।
তিনি বলেন, নিহত শাকিলের বাবা মো.সোলাইমান খোকন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ধীতপুর গ্রামের মোরশেদ আলম(২৫), জীবন (২৪) ও মনির হোসেন(২২)। তাদের মধ্যে দুইজনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় পুলিশ পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারের পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবার পাশের ঝোঁপ থেকে সেমি অটোমেটিক একটি পিস্তল এবং পিস্তরের সাথে থাকা একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করে। এর আগে ঘটনার পরপরই সোমবার রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের যৌথ টিম ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড তাজা গুলি ও এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজার থেকে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লাবিব নামে এক তরুণকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় ইয়াছিন আরাফাত শাকিলসহ কয়েজন মিলে সন্ত্রাসীদের বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে শাকিলের ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেন শুভর মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন তিন যুবককে ধরে গণপিটুনীর পর পুলিশে সোপর্দ করে।